উইপোকায় খেয়ে ফেলছে শখের ফার্নিচার? চাইলে কিন্তু ঘরোয়া উপায় দিয়েই রুখে দিতে পারেন ধ্বংসকামী উইপোকাকে। কীভাবে?
উইপোকা দেখা গেলে ব্যবস্থা নিতে হয় যত দ্রুত সম্ভব। যখনি দেখবেন কোনো কাঠের আসবাব থেকে কাঠ গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরে পড়ছে তখনি সেটাকে রেড এলার্ট ধরে নিন। কারণ ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে আপনার শখের ফার্নিচার ধ্বসে পড়তে বেশিদিন লাগবে না। শুধু উইপোকার জন্য সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নষ্ট হয়। উইপোকায় খেয়ে ফেলা ফার্নিচার মেরামতে খরচ হতে পারে কয়েক হাজার থেকে প্রায় লাখ পর্যন্ত!
কিন্তু উইপোকার মত জেদি এবং সংখ্যায় বিপুল বাহিনীর সাথে কীভাবে পেরে উঠবেন? চলুন কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই যেগুলি ব্যবহার করে আপনি নিজেই উইপোকাদের হারিয়ে দিতে পারবেন!
১। বরিক এসিডঃ
পোকামাকড়দের আক্রমণের জন্য বরিক এসিড সবসময়ই ভালো ফল দিয়ে এসেছে। উইপোকার ক্ষেত্রেও এই এসিডটি বেশ কাজের। বরিক এসিডের সংস্পর্শে এলে উইপোকাদের স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব পড়ে এবং তারা শীঘ্রই মারা যায়। সাধারণ দোকানেই বরিক এসিডের গুঁড়ো প্যাকেট আকারে কিনতে পাওয়া যায়। বরিক এসিড কিনে ভালমত উইপোকার বাসার আশেপাশে বা যে আসবাবে আক্রমণ করেছে তার আশেপাশে ছিটিয়ে দিন। এভাবে বরিক এসিড প্রয়োগ করে যান যতদিন না পর্যন্ত উইপোকারা একেবারে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে সতর্ক থাকবেন, বরিক এসিড মানুষ বা পোষাপ্রাণির পেটে গেলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
২। ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ (Diatomaceous Earth)ঃ
উইপোকা দমনের জন্য সবচেয়ে ভাল ফলাফল পেতে হলে এটিই আপনার ব্যবহার করা উচিত। এটির নাম শুনে অপরিচিত লাগলেও এটি আসলে বহুল ব্যবহৃত একটি কীটনাশক। উইপোকা ও তেলাপোকাসহ বেশিরভাগ পোকামাকড়দের বিরুদ্ধেই এটি ব্যবহার করা যায়। এটি পাউডার আকারে কিনতে পাওয়া যায়। উইপোকারা এর সংস্পর্শে আসলেই মারা যায়।
আপনার যেসব আসবাবে উইপোকারা আক্রমণ করেছে সেখানে ভালমত এটি ছিটিয়ে দিন। এছাড়া মেঝেতে, দেয়ালের কোণায় ও উইপোকাদের চলাচলের রাস্তায় ছিটিয়ে রাখুন। চাইলে বাড়ির বাইরেও চারপাশ ঘিরে এটি ছিটিয়ে দিতে পারেন যাতে বাইরে থেকেও কোনো পোকা আর না আসতে পারে। কয়েকদিনের ভিতরেই দেখবেন উইপোকারা বিদায় নিয়েছে।
সতর্কতাঃ এটি ব্যাবহারের সময় হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরে নিতে ভুলবেন না। চামড়ার সংস্পর্শে এলে এটি চুলকানো সহ অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এবং নিঃশ্বাসের সাথে এর গুঁড়ো ফুসফুসে ঢুকলে ফুসফুসের ক্ষতিও হতে পারে।
৩। নিম তেলঃ
নিম তেলের অনেক গুণের মধ্যে একটি হচ্ছে পোকামাকড়দের দমন করার ক্ষমতা। কীট-পোকাদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কয়েকশ বছর ধরে মানুষ নিমতেলকে ভরসা করে এসেছে । নিম তেল কাজে লাগাতে পারেন উইপোকা দমনেও। নিমতেল উইপোকাদের হরমোনাল সিস্টেম ও রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমে গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দেয়। যা তাদেরকে খাওয়া এবং বংশবৃদ্ধি করা থেকে বিরত রাখে। তাই খুব শীঘ্রই এরা মারা যায়। তার উপরে নিম তেলের গন্ধটাও উইপোকাদের খুবই অপছন্দের। তাই নিরাপদে উইপোকাদের বাড়ি থেকে তাড়াতে নিমতেলের ব্যবহার হতে পারে একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।
নিমতেলের সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে একটি বোতলে অল্প গরম পানি নিয়ে তাতে ২-৩ চামচ বাসন মাজার ডিটারজেন্ট মিশান। তারপর এতে ২-৩ চামচ নিম তেল ঢেলে ভালমত মেশান। ব্যাস প্রস্তুত হয়ে গেল উইপোকা দমনের অস্ত্র। এবার শুধু উইপোকা আছে এমন জায়গায় ভালমত স্প্রে করে দিন। প্রতিদিন একবার বা দুইবার করে এই মিশ্রণ প্রয়োগ করুন। একবার মিশ্রণ বানানোর পর ৮ ঘণ্টা কেটে গেলে পুরনো মিশ্রণ ব্যবহার না করে নতুন করে মিশ্রণ তৈরি করবেন।
৪। রোদঃ
এটার কথা সম্ভবত আমরা সবাইই জানি। উইপোকারা গরম কিংবা খুব ঠান্ডা কোনোটাই পছন্দ করে না। তাই উইপোকার কবলে পড়া আসবাবটি রোদে দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে উইপোকারা ঐ আসবাব থেকে তাদের বাসস্থান উঠিয়ে নিতে বাধ্য হবে। তবে আসবাবটি যদি খুব পুরু কাঠের হয়, যার আড়ালে উইপোকারা আশ্রয় পেয়ে যায়, তাহলে এই পদ্ধতিটি খুব একটা কাজের হবেনা। তবে ছোট বা মাঝারি আসবাবের জন্য এটি ভাল কাজে দিতে পারে।
এভাবেই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ফার্নিচারের চিরশত্রু উইপোকাদের রুখে দিতে পারেন। তবে আপনার কাছে যদি এত ঝামেলা পোহানোর সময় না থাকে, তাহলে চাইলেই প্রফেশনাল সাহায্য পেতে পারেন। আমরা যেকোনো বাসা, অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনে পোকামাকড় দমনের জন্য সেবা দিয়ে থাকি। আধুনিক ও নিরাপদ পদ্ধতিতে সবচেয়ে দ্রুত ফলাফল দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত। আমদের টিমের প্রত্যেকেই তাদের কাজে দক্ষ ও পেশাদার। আমাদের সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন এখনি।
আমাদের সেবাসমূহঃ
১। ছারপোকা দমন
২। তেলাপোকা দূর করা
৩। উইপোকা দমন ও নিস্তার করা
৪। ইঁদুর দমন
৫। মশা দমন
আমাদের উপরে আস্থা রেখেছেন যারাঃ
EASTERN BANK
BSRM Steel
CHITTAGONG STOCK EXCHANGE
ABUL KHAIR GROUP
HAMIM GROUP
TARGET GROUP